Header Ads

বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল সমূহ ।। Political parties of Bangladesh।। বাংলা ডি অনলাইন

 বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল সমূহ ।। Political parties of Bangladesh।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি

আপনি জানেন কি বাংলাদেশে কতটি রাজনৈতিক দল আছে? বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে বাংলাদেমে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর বাহিরেও আরও কিছু অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলও বাংলাদেশে রয়েছে। বাংলাদেশে প্রধানত দ্বিদলীয় শাসনব্যবস্থা বিরাজমান। অর্থাৎ দুই দলের বাইরে অন্য কোনো দলের নামে নির্বাচনে জয়লাভ কারো পক্ষে অত্যন্ত কঠিন। এখানে প্রধান দুই দল পালাক্রমে দেশ শাসন করে থাকে। যা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ। আজ আমরা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ো আলোচনা করব। বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০১ নাম্বারে আছে

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি – এলডিপি ।। Liberal Democratic Party – LDP


লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি  এলডিপি

লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা এলডিপি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যা বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ২০০৮" বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। ২০০৬ সালের ২৬অক্টোবর বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্প ধারার সাথে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্ণেল অলি আহমেদ ও বিএনপির অন্য ২৪ জন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য একত্রিত হয়ে এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। তবে ২০০৭ সালে আদর্শগত কারণে বিকল্প ধারা, এলডিপি থেকে বের হয়ে যায়।

রাজনৈতিক জোট ও নির্বাচন

২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এলডিপি মহাজোটের সাথে অবস্থান করে। কিন্তু নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০০৮-এর পূর্বে এলডিপি মহাজোট থেকে বের হয়ে আসে এবং সতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করে। এলডিপি উক্ত নির্বাচনে ১৮টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ১টি আসনে জয়লাভ করে। দলের সভাপতি অলি আহমেদ চট্টগ্রাম-১৩ আসনে জয়লাভ করেন। ২০১২ সালে এলডিপি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় ঐক্যজোটে প্রবেশ করে। ১৮ দলীয় ঐক্যজোট ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন বর্জন করলে সাথে সাথে এলডিপিও নির্বাচনটি বর্জন করে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ ছাতা

প্রেসিডেন্টঃ ডক্টর অলি আহমদ, বীর বিক্রম

মহাসচিবঃ ডক্টর রেদোয়ান আহমেদ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২৯/বি,মর্নিং পোস্ট টাওয়ার (৩য় তলা), পূর্ব পান্থপথ,থানা-তেজগাঁও সি/এ,ঢাকা-১২০৮।

রাজনৈতিক অবস্থানঃ কেন্দ্রপন্থী

ইমেইলঃ ldp@gmail.com

ওয়েব এ্যাড্রেস: www.ldp-bangladesh.org

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০২ নাম্বারে আছে

জাতীয় পার্টি – জেপি ।।Jatiya Party – JP।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


জাতীয় পার্টি  জেপি

আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি; জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) নামে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠনের সময় এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিলেও পরবর্তীকালে চার দলীয় জোটে শরিক হন। তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির অন্যতম নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এরশাদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে নতুন দল গঠন করেন।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ বাইসাইকেল

চেয়ারম্যানঃ আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এম.পি

মহাসচিবঃ ডক্টর শেখ শহীদুল ইসলাম

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৩/৬, সি-২, ব্লক-এ, লালমাটিয়া, ঢাকা-১২০৭।

ইমেইল: jatiyaparty_jp@yahoo.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০৩ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) ।। Communist Party of Bangladesh (ML) বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল)

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, এগারো দল এবং মহাজোটের অংশ। এই দলের নির্বাচনী প্রতীক চেয়ার। ১৯৯৫ সালে সাম্যবাদী দলের ষষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় এবং দিলীপ বড়ুয়া দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। দলের সপ্তম কংগ্রেস ঢাকার মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ২৯ মার্চ- ১ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে। সেই কংগ্রেসেও দিলীপ বড়ুয়া পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের আওয়ামী লীগের মন্ত্রী সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া মন্ত্রী হন।

কমিউনিস্ট পার্টিতে ভাঙন দেখা দেয়। ১৯৬৭ সালে ১-৩ অক্টোবর ১ম কংগ্রেসে মার্কসবাদ, লেনিনবাদ, মাও সেতুং এর চিন্তাধারাকে আদর্শিক ভিত্তি হিসাবে গ্রহণ করে কমরেড সুখেন্দু দস্তিদার, কমরেড মোহাম্মদ তোয়াহার নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭২ সনে সুখেন্দু দস্তিদার কর্তৃক পার্টির নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) থেকে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) রাখা হয়।

১৯৭৬ সালে আলাউদ্দিন আহম্মদের নেত্রিত্বাধীন অংশ সাম্যবাদী দলে যোগ দেয়। ১৯৭৭ সনে সাম্যবাদী দল দুই ভাগে বিভক্ত হয়। সুখেন্দু দস্তিদার  মোহাম্মদ তোয়াহার নেতৃত্বে একটি অংশ সংগঠিত হয়। অন্য অংশের নেতৃত্ব দিতে থাকেন আবদুল হক, শরদিন্দু দস্তিদার, অজয় ভট্টাচার্য এবং হেমন্ত সরকার। ১৯৭৮ সালে আবদুল হকের দল বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) নামটি গ্রহণ করে।

১৯৮৫ সালে তোয়াহা গ্রুপ এবং আলী আব্বাস ও দিলীপ বড়ুয়া গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হয়। দিলীপ বড়ুয়া ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জোটে শামিল হয়ে মন্ত্রী পরিষদে ঠাই নেন।

ইতিহাস

পুরোনো সাম্যবাদী পিকিংপন্থী দলের অনেক নেতাই ১৯৯৫ সালের আগেই পরলোক গমন করেন; তাঁদের মধ্যে নগেন সরকার, সুখেন্দু দস্তিদার, দেবেন শিকদার, মোহাম্মদ তোয়াহা, আলী আব্বাস, আবদুল হক প্রমুখ।

১৯৮৫ সালে তোয়াহা গ্রুপ এবং আলী আব্বাস ও দিলীপ বড়ুয়া গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হয়। দিলীপ বড়ুয়া ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জোটে শামিল হয়ে মন্ত্রী পরিষদে ঠাই নেন। পুঁজিবাদী সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নির্মাণের লক্ষ্যে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দল আওয়ামী লীগ সরকারের শিল্পমন্ত্রী হিসেবে ২০০৯-১৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল) এর রয়েছে বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন। “বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন” হচ্ছে তাদের ছাত্র সংগঠন । বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলন এর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়কারী ইউনুস সিকদার।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ চাকা

সাধারণ সম্পাদকঃ মিঃ দিলীপ বড়ুয়া

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২৭/১১/১ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০৪ নাম্বারে আছে

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ।। Farmers Sramik Janata League।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এই দলের সভাপতি, এবং হাবিবুর রহমান তালুকদার সাধারণ সম্পাদক। ২০০১ সংসদীয় নির্বাচনে দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে ১টি আসনে জয়লাভ করে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ গামছা

সভাপতিঃ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বীর উত্তম

সাধারণ সম্পাদকঃ হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৮০, মতিঝিল, জীবন বীমা ভবন (নীচতলা), ঢাকা-১০০০

ইমেইল: ksjanataleague@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০৫ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ।। Communist Party of Bangladesh।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিবি হচ্ছে বাংলাদেশের একটি মার্কসবাদী–লেনিনবাদী রাজনৈতিক দল। এ পার্টি অবিভক্ত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির উত্তরাধিকার বহন করে। ভারত বিভাজনের পর ১৯৪৮ সালের ৬ মার্চ এ দল পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত লক্ষ্যকে সামনে রেখে জন্মলগ্ন থেকেই এ পার্টি আপোষহীনভাবে অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও মেহনতি মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এ পার্টির বীরত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়ন-কমিউনিস্ট পার্টির বিশেষ গেরিলা বাহিনীর প্রায় ১৯ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। এ পার্টির কিংবদন্তি নেতা কমরেড মণি সিংহ মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন।

নীতি ও কৌশলসমূহ

মতাদর্শ : মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ

লক্ষ্য : সমাজতন্ত্র-সাম্যবাদ

কৌশল : সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পরিবর্তন সাধন

গঠনের ইতিহাস

১৯৪৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত কলকাতায় ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুসারে কংগ্রেসে আগত পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা স্বতন্ত্রভাবে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে ৯ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেন। এই কমিটিতে ছিলেন সাজ্জাদ জহির, খোকা রায়, নেপাল নাগ, জামাল উদ্দিন বুখারি, আতা মোহাম্মদ, মণি সিংহ, কৃষ্ণবিনোদ রায়  মনসুর হাবিবউল্ল্যা। সাজ্জাদ জহির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের পার্টি দুর্বল বিধায় এই পার্টিকে পরিচালনা করার জন্য সিপিআইয়ের পক্ষ থেকে ভবানী সেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি বা পূর্ব পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতি ছিলো কলকাতায় অনুষ্ঠিত সিপিআইয়ের দ্বিতীয় কংগ্রেসে গৃহীত রাজনীতিই। আলাদাভাবে বিশেষ কোনো রণনীতি বা রণকৌশল গ্রহণ করা হয়নি। নবগঠিত পাকিস্তানে শ্লোগান তোলা হয়, ইয়ে আজাদী ঝুটা হ্যায়, লাখো ইনসান ভুখা হ্যায়, সশস্ত্র সংগ্রাম গড়ে তুলে এই সরকার হঠাও।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ কাস্তে

সভাপতিঃ মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সাধারণ সম্পাদকঃ মো শাহ আলম

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ মুক্তিভবন-৬ষ্ঠ তলা, ২, কমরেড মণি সিংহ সড়ক, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

ইমেইল: cpbmedia@gmail.com

ওয়েব এ্যাড্রেস: www.cpbbd.org

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০৬ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ।। Bangladesh Awami League।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (বাংলা: বাংলাদেশ গণসংঘ) বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। এই রাজনৈতিক দলটির গোড়াপত্তন হয় ২৩ জুন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী কালে এর নাম ছিল নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সাল থেকে এর নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ১৯৫৫ সালে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম "আওয়ামী লীগ" করা হয়।

ইতিহাস

প্রতিষ্ঠা

রোজ গার্ডেন, ১৯৪৯ সালে এই ঐতিহাসিক ভবনে আওয়ামী লীগের জন্ম হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী  আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্যালেসে 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ' প্রতিষ্ঠিত হয়, যার সভাপতি ছিলেন টাঙ্গাইলের মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইলের শামসুল হক। পরবর্তীকালে, ১৯৫৫ সালে মওলানা ভাসানীর উদ্যোগে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নাম রাখা হয়: 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ'।

আওয়ামী লীগের জন্মসূত্রের সঙ্গে ঢাকা ১৫০ নম্বর মোগলটুলিস্থ পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের উদ্যোগের সম্পর্ক অনস্বীকার্য। ২৩ জুনের সম্মেলনের আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন শওকত আলী। তার উদ্যোগে ১৫০ নং মোগলটুলিস্থ শওকত আলীর বাসভবন এবং কর্মী শিবির অফিসকে ঘিরে বেশ কয়েক মাসের প্রস্তুতিমূলক তৎপরতার পর ২৩ জুনের কর্মী সম্মেলনে দলের ঘোষণা দেয়া হয়। শওকত আলীর অনুরোধে কলকাতা থেকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী একটি মামলা পরিচালনার কাজে ঢাকায় এলে তিনি শওকত আলীকে মুসলিম লীগ ছেড়ে ভিন্ন একটি রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তোলার পরামর্শ দেন। শওকত আলী এ পরামর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরের নেতৃবৃন্দকে নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। এসময় কর্মী শিবিরের প্রধান নেতা ছিলেন শামসুল হক। কামরুদ্দীন আহমদ, মো. তোয়াহা, অলি আহাদ, তাজউদ্দীন আহমদ, আতাউর রহমান খান, আবদুল আউয়াল, মুহম্মদ আলমাস, শামসুজ্জোহা প্রমুখ প্রথম দিকে এবং পরবর্তীতে শেখ মুজিবুর রহমান কর্মী শিবির কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মতৎপরতায় বিশেষভাবে যুক্ত ছিলেন। মুসলিম লীগের আবুল হাশিম-সোহরাওয়ার্দী গ্রুপ নেতৃবৃন্দ মুসলিম লীগের অন্যায় কাজগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার লক্ষ্যেই এখানে কর্মী শিবির গড়ে তুলেছিলেন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ১৯৪৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলখানা থেকে ছাড়া পেয়ে ঢাকা এলে তার সঙ্গে শওকত আলীর আলোচনা হয়। শওকত আলী মওলানাকে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবিরকেন্দ্রিক রাজনৈতিক তৎপরতার কথা জানান। এসময় মওলানা ভাসানী আলী আমজাদ খানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। শওকত আলীর সঙ্গে তার প্রাথমিক আলোচনা সেখানেই হয়। এই আলোচনার সূত্র ধরে নতুন দল গঠনের জন্য একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন শওকত আলী। সেজন্যে ১৫০ নম্বর মোগলটুলিতে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। মওলানা ভাসানী সেই বৈঠকে যোগদান করেন। এসময় খোন্দকার আবদুল হামিদের সঙ্গে পরামর্শ করে শওকত আলীর উদ্যোগে ও প্রচেষ্টায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি, ইয়ার মুহম্মদ খানকে সম্পাদক এবং খন্দকার মুশতাক আহমদকে দপ্তর সম্পাদক করে অন্যদেরসহ একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠিত হয়।

উপর্যুক্ত সাংগঠনিক কমিটি ১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন রোজ গার্ডেনে নতুন দল গঠনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে এক সম্মেলন আহ্বান করে। রোজ গার্ডেনে ২৩ জুনের বিকেল ৩টায় সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, শওকত আলী, আনোয়ারা খাতুন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, আবদুল জব্বার খদ্দর, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আতাউর রহমান খান, মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, আলী আমজাদ খান, শামসুদ্দীন আহমদ (কুষ্টিয়া), ইয়ার মুহম্মদ খান, মওলানা শামসুল হক, মওলানা এয়াকুব শরীফ, আবদুর রশিদ প্রমুখ।

প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন টাঙ্গাইলের মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক। শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে (খায়ের মিয়া) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। এসময় শেখ মুজিব কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন। অন্যদিকে, পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এর সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

২৪ জুন বিকেলে নবগঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগ মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে প্রকাশ্যে জনসভা করে। সভায় আনুমানিক প্রায় চার হাজার লোক উপস্থিত হয়।

১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার 'মুকুল' প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন শেখ মুজিব। উল্লেখ্য যে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ছিলো তৎকালীন পাকিস্তানে প্রথম বিরোধী দল।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দলটি প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্বসহ ৪২ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করে। শুরুর দিকে দলটির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলার স্বীকৃতি, এক ব্যক্তির এক ভোট, গণতন্ত্র, সংবিধান প্রণয়ন, সংসদীয় পদ্ধতির সরকার, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং তৎকালীন পাকিস্তানের দু'অঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণ।

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করতে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর দলটি কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও নেজামে ইসলামের সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে।

১৯৫৪ সালের মার্চের আট থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এরমধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ।

২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী মুসলিম লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দু'বছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল।

১৯৫৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের তৃতীয় সম্মেলনে দলের নাম থেকে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়; নতুন নাম রাখা হয়: 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ'।

পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালে দল ভাঙন দেখা দেয়। ওই বছরের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি কাগমারি সম্মেলনে দলে বিভক্তির ঘটনা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় মাওলানা ভাসানী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।

সরকার গঠন

আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট-সরকার গঠন করে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭টি আসনে জয়লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকদের স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব ও শোষণের ফলস্বরূপ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সংগ্রাম করে ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০টি আসন লাভ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। তার পর থেকে এখন পযন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ নৌকা

সভানেত্রীঃ শেখ হাসিনা এমপি

সাধারণ সম্পাদকঃ ওবায়দুল কাদের এমপি

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, রমনা, ঢাকা। সভাপতির কার্যালয় বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা।

ইমেইল: alparty1949@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০৭ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বি.এন.পি ।। Bangladesh Nationalist Party - B.N.P ।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল - বি.এন.পি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল। ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এই দল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৭ সালে ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার শাসনকে বেসামরিক করার উদ্দেশ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি শুরু করেন। জিয়া যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি রাষ্ট্রপতির পদের জন্য নির্বাচন করবেন তখন তার নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন বিচারপতি আব্দুস সাত্তার।

ইতিহাস

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন। জাগদলকে বিএনপির সাথে একীভূত করা হয়। রাষ্ট্রপতি জিয়া এই দলের সমন্বয়ক ছিলেন এবং এই দলের প্রথম চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী এর প্রথম মহাসচিব ছিলেন। জিয়ার এই দলে বাম, ডান, মধ্যপন্থি সকল প্রকার লোক ছিলেন। বিএনপির সবচেয়ে প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল এর নিয়োগ পদ্ধতি। প্রায় ৪৫ শতাংশ সদস্য শুধুমাত্র রাজনীতিতে যে নতুন ছিলেন তাই নয়, তারা ছিলেন তরুণ।  ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় রমনা রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের যাত্রা শুরু করেন। জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাপত্র পাঠ ছাড়াও প্রায় দুই ঘণ্টা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। এখানে উল্লেখ্য, বিএনপি গঠন করার আগে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) নামে আরেকটি দল তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছিল। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে দলের এবং এর অঙ্গ সংগঠনের সকল সদস্য জিয়াউর রহমান ঘোষিত নতুন দলে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ ধানের শীষ

চেয়ারপার্সনঃ বেগম খালেদা জিয়া

মহাসচিবঃ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ২৮/১, নয়াপল্টন (ভি আই পি রোড), ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: bnpcentral@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০৮ নাম্বারে আছে

গণতন্ত্রী পার্টি

গণতন্ত্রী পার্টি বাংলাদেশের একটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল। দলটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত। ড. শাহাদাত হোসেন গণতন্ত্র পার্টির সাধারণ সম্পাদক।

ইতিহাস

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত গণতন্ত্রী পার্টির মনোনয়নে সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সালে তিনি গণতন্ত্রী পার্টি থেকে অব্যাহতি নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। দলটির সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের মহাজোটের প্রার্থী হওয়ার আগে তার বাড়িতে আগুনে লাগে এবং তিনি মারা যান। তার সহযোগী ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অভিযোগ ছিল যে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ কবুতর

সভাপতিঃ ব্যারিষ্টার মোঃ আরশ আলী

সাধারণ সম্পাদকঃ ডাঃ শাহাদাত হোসেন

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৬ পুরানা পল্টন (ইশরাত টাওয়ার, ১০ম তলা), ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: ganotantryparty2015@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ০৯ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি

বাংলাদেশের একটি বামপন্থী রাজনৈতিক দল। মওলানা  আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসে এই দলটি গঠিত হয়। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি অবিভক্ত পাকিস্তানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক দল যা পূর্ব পাকিস্তান ব্যাপী ১৯৬৯-এর গণঅভ্যূত্থান সংগঠনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছিল। মাওলানা ভাসানী এই দলের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে স্বপ্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগ, যা পরবর্তীকলে আওয়ামী লীগ নামে পরিচিত, ত্যাগ করে মাওলানা ভাসানী এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।

পাদটীকা ও তথ্যসূত্র

পাকিস্তান ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে একটি জন যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে বিভক্ত হয় ওবং এর পূবার্ঞ্চল বাংলাদেশ নামীয় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আবির্ভূত হয়।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ কুঁড়েঘর

সভাপতিঃ অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২০-২১, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট (২য় তলা), ঢাকা-১২০৫।

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১০ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। সাম্যবাদী ভাবধারার এই দলটি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (লেনিনবাদী), বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ এবং অন্য একটি গ্রুপ থেকে ১৯৮০ সালে গঠিত হয়। অমল সেন ছিলেন এটির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব।

১৯৮৪ সালে এই দলটি দুটি ভাগে বিভক্ত হয় এবং দুই পক্ষই একই নাম ব্যবহার করতে থাকে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন অমল সেন এবং অন্য গ্রুপের নজরুল ইসলাম। বর্তমান সভাপতি রাশেদ খান মেনন অন্য একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ১৯৯২ সালে দলটি পুনরায় একত্রিত হয়।

এই দলটি বর্তমান ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় মহাজোটের একটি অংশ।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ হাতুড়ী

সভাপতিঃ রাশেদ খান মেনন এমপি

সাধারণ সম্পাদকঃ ফজলে হোসেন বাদশা এমপি

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৩১/এফ, তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: wpartybd@bangla.net

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১১ নাম্বারে আছে

বিকল্পধারা বাংলাদেশ

বিকল্পধারা বাংলাদেশ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যেটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিএনপি সাংসদ ড. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০৪ সালে গঠন করেন। ঘটনাক্রমে, ড. বি. চৌধুরী ছিলেন বিএনপিরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। নির্বাচনের সময় এই পার্টির প্রতীক হচ্ছে কুলা, একটি হাতে বানানো ধানঝাড়ুনি পাখা। মৈত্রীর ক্ষেত্রে এটি বর্তমানে রাজনৈতিক অবস্থানে আওয়ামী লীগের মিত্র এবং জাতীয় সংসদে ২টি আসন রয়েছে ।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ কুলা

প্রেসিডেন্টঃ অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী

মহাসচিবঃ মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ বাড়ী নং- ১৯, রোড নং- ১২, ব্লক- কে, বারিধারা, ঢাকা-১২১২।

ইমেইল: bchowdhury@dbn-bd.net, abdulmannan@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১২ নাম্বারে আছে

জাতীয় পার্টি

জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি জাতীয় পার্টি গঠন করেন। বর্তমানে এর মূল দল জাতীয় পার্টি ৪-টি অংশে বিভক্ত। মূল দলের নেতা জি এম কাদের, তবে অন্য তিনটি অংশের নেতা যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু , আন্দালিব রহমান পার্থ  কাজী জাফর আহমেদ

২০১৪ তে এরশাদ এর কাজের জন্য জাতীয় পার্টি বিভক্ত হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ ও সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা জামাল হায়দার নেতৃত্বে নতুন দল হয় এবং এটি ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ১৯ দলীয় জোট হয়।

সরকার গঠন

দলটি ১৯৮৬-১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিল। পরে ১৯৯৬-২০০১,২০০৮-২০১৩ এবং ২০১৪-২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জোট সরকার গঠন করে।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ লাঙ্গল

চেয়ারম্যানঃ জি এম কাদের

মহাসচিবঃ মুজিবুল হক চুন্নু

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৬৬, পাইওনিয়ার রোড, কাকরইল, ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: press.jatiyoparty@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১৩ নাম্বারে আছে

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ।। National Socialist Party-Jasad ।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সংক্ষেপে জাসদ) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল।

বর্তমানে নিবন্ধিত ১৩ নং দল জাসদ এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। বাংলাদেশ জাসদ এর সভাপতি শরীফ নুরূল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। এ দু'অংশ বর্তমান মহাজোট সরকারের সাথে যুক্ত। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি’র সভাপতি আ.স.ম. আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন তালুকদার । জেএসডি বর্তমান মহাজোট সরকারের বিরোধীদল হিসেবে আছে।

জাসদের গঠন ও ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থান প্রসঙ্গ

১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর দলটির সাত সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়। আবদুল জলিল হন সভাপতি এবং আ স ম আবদুর রব হন যুগ্ম আহ্বায়ক। একই বছরে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত অতিরিক্ত কাউন্সিলে ১০৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই সম্মেলনে জাসদ তার ঘোষণাপত্রও অনুমোদন করে। সেই ঘোষণাপত্রে সামাজিক বিপ্লবের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র তথা শ্রেণিহীন শোষণহীন কৃষক শ্রমিকরাজ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়া হয়।  ৭ মার্চ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, শতকরা ৭ ভাগ(১,২২৯,১১০) ভোট পেয়ে ৫টি আসনে বিজয়ী হয় । ১৯৭৪ সালের শুরু থেকে শেখ মুজিব সরকারকে অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাট, নির্যাতনের বিরুদ্ধে নতুন মাত্রায় আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়ন করে । ৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ সালে আহ্বান করে হরতাল। ১৭ মার্চ পল্টন ময়দানের জনসভা শেষে প্রায় হাজার ত্রিশ উত্তেজিত জনতার এক বিক্ষোভ মিছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। মিছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ির সামনে পৌঁছলে পুলিশের সংগে জনতার খণ্ডযুদ্ধ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রক্ষীবাহিনী তলব করা হয় এবং রক্ষীবাহিনীর গুলিতে প্রায় ২২/২৩ জন জাসদ কর্মী নিহত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবকে হত্যাকারী খুনী ফারুক-রশিদের তল্পী বাহক খন্দকার মোস্তাকের বিরুদ্ধে জাসদ অবস্থান নেয়। যার ফলশ্রুতিতে খন্দকার মোস্তাকের স্বল্পকালীন শাসন আমলে কয়েকশ নেতা-কর্মী নিহত হন।  সেনাবহিনী শৃংখলা (চেইন অব কমান্ড) ফিরিয়ে আনার নামে ৩ নভেম্বর খালেদ মোশারফ পাল্টা ক্যু করলেও ৩ নভেম্বর জেল হত্যার ঘটনা ঘটে, বঙ্গবন্ধুর খুনীরা নির্বিঘ্নে বিদেশে চলে যায়। এই পটভুমিতে ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহি-জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয়, যা খালেদ মোশাররফ স্বল্পকালীন সরকারের অবসান ঘটায়। বন্দি জেনারেল জিয়াউর রহমানকে মুক্ত হন, তাকে অভ্যুত্থানকারী সৈনিকরা বিভিন্ন দাবি দাওয়া উত্থাপন করে (-তার মধ্যে ছিল জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা) । আবু তাহের ছিলেন জাসদের গণবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এবং ৭ নভেম্বরের সিপাহী অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সাথে জড়িত। এই বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ছিলো গণবাহিনীর শাখা সংগঠন। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমানের সরকারের আমলে দায়েরকৃত এক হত্যা মামলায় সামরিক আদালতে তাহেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং ১৯৭৬ সালের ২১শে জুলাই তার ফাঁসী কার্যকর হয়। 

জাসদে ভাঙন

১৯৮০ সালে বিভিন্ন বিতর্ককে কেন্দ্র করে প্রথম জাসদ ভাঙনের কবলে পড়ে এবং জাসদ থেকে বেরিয়ে একদল নেতা বাসদ গড়ে তোলে। ১৯৮৪ সালে আরেক দফা ভাঙ্গন হয়। ১৯৮৬ সালে কাজী আরেফ আহমেদ  হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বাধীন জাসদ জাসদ (ইনু) হিসেবে পরিচিতি পায়। ১৯৯৭ সালে জাসদ (রব), জাসদ (ইনু) এবং বাসদ (মাহাবুব) এর একাংশ মঈন উদ্দিন খান বাদলের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়, আ স ম রব সভাপতি এবং হাসানুল হক ইনু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে আ স ম রবের নেতৃত্বে কতিপয় নেতা জেএসডি নামে জাসদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০০৪ সালে থেকে হাসানুল হক ইনু’র নেতৃত্বে জাসদ ১৪ দল গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে মহাজোট গঠিত হলে জাসদ (ইনু) মহাজোটের শরিক হয়। ২০১৬ সালের ১১ ও ১২ মার্চ জাসদের জাতীয় সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। ১২ মার্চ কাউন্সিল অধিবেশনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক সেশন শেষে নির্বাচনী অধিবেশনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, নেতা নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশন (এ সময় মূলত দলীয় সাংগঠনিক পদ বিলুপ্ত হয়)। হাসানুল হক ইনু সর্বসম্মতভাবে একক প্রার্থী হিসেবে কন্ঠ ভোটে সভাপতি পুনঃনির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক পদে শিরীন আখতার এমপি ও নাজমুল হক প্রধান এমপি-র নাম প্রস্তাব আসে। এ সময় শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয় প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার নেতৃত্বে কিছু কাউন্সিলর কাউন্সিল অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত হলে কাউন্সিলররা কাজী বশির মিলানায়াতনে (মহানগর নাট্যমঞ্চ) সাংগঠনিক নিয়মে সরাসরি সাধারণ সম্পাদক পদে গোপন ব্যালটে ভোট প্রদান করেন। শিরীন আখতার এমপি পান ৬০৩ ভোট এবং নাজমুল হক প্রধান পান ১২৩ ভোট পান । প্রাপ্ত ভোটে শিরীন আখতার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। অন্যদিকে কাজী বশির মিলানায়াতন (মহানগর নাট্যমঞ্চ) ত্যাগকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে, শরীফ নুরুল আম্বিয়াকে সভাপতি, নাজমুল হক প্রধানকে সাধারণ সম্পাদক এবং নিজেকে কার্যকরী সভাপতি ঘোষণা করেন মঈন উদ্দিন খান বাদল এমপি। এর মাধ্যমে কার্যত জাসদের আরেক দফা বিভক্তি চূড়ান্ত হয়।

নির্বাচন কমিশনে শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং নাজমুল হক প্রধান নিজেদের-কে বৈধ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাবি করে প্রতীক মশাল দাবি করেন। নির্বাচন কমিশন উভয় পক্ষের জন্য আলাদা আলাদা শুনানি এবং দাবির স্ব-পক্ষে দালিলিক প্রমাণ প্রদান করার জন্য পত্র প্রদান করে। ৬ এপ্রিল ২০১৬ সালে দুইপক্ষ আলাদা আলাদা শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে হাসানুল হক ইনু, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে মশাল সুরক্ষার আবেদন জানিয়ে চিঠি উল্লেখ করেন, জাসদ ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর ইসিতে নিবন্ধন নেয়। নিবন্ধিত ১৩ নম্বর দল হিসেবে এর প্রতীক হচ্ছে ‘মশাল’। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ৩৫-৩৬ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, ঢাকা-১০০০। নিবন্ধন নেওয়ার সময় দলটির সভাপতি ছিলেন হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সৈয়দ জাফর সাজ্জাদ। ১৩ এপ্রিল ২০১৬ নির্বাচন কমিশন হাসানুল হক ইনু’র নেতৃত্বাধীন অংশকে নিয়ম আনুযায়ী কাউন্সিল করার জন্য বৈধ কমিটি এবং তাদের অনুকুলে দলে নিবন্ধ বহাল রাখা হয়। নিবন্ধিত ১৩ নং দল জাসদ এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘মশাল’ এর আইনগত কর্তৃত্ব লাভ করেন। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক কারণেই শরীফ নুরুল আম্বিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশ মেনে নেয়নি। তারা নির্বাচন কমিশনে রিভিউ আবেদন করেন, আবেদন নিস্পত্তিত্বে সময়ক্ষেপনের অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে রীট করেন। রীটটি গ্রহণ না করে নির্বাচন কমিশনকে ৩০দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলেন। নির্বাচন কমিশন পুর্বের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলে এর প্রতিকার চেয়ে শরীফ নুরুর আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান হাইকোর্টে রীট করেন। মহামান্য হাইকোর্ট এ প্রশ্নে রুল জারি করেন। কিন্তু জাসদের ‘১৩’ নং নিবন্ধন অথবা ‘মশাল’ প্রতীকের বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট কোন বিধি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। উল্লেখ্য প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে ‘লা্ঙ্গল’ নিয়ে হাইকোর্টের একটি রায় আছে।

জাতীয় কাউন্সিল ২০২০

সভাপতি: হাসানুল হক ইনু এমপি, সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, কার্যকরী সভাপতি এড. রবিউল আলম

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ মশাল

সভাপতিঃ হাসানুল হক ইনু এমপি

সাধারণ সম্পাদকঃ শিরীন আখতার, এম.পি

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৩৫-৩৬, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ, ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: jsd@dhaka.net

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১৫ নাম্বারে আছে

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সংক্ষেপে জাসদ) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। এটি ২০০২ সালে মূল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বিভক্তির দ্বারা গঠিত হয়েছিল। ইনুর নেতৃত্বে মূল দল থেকে আলাদা করে বলার জন্য দলটিকে মাঝে মাঝে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব) (দলের প্রধান নেতা আ.স.ম. আব্দুর রব) হিসাবে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দলটিকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি নামে ডাকে।

বর্তমানে নিবন্ধিত দল জেএসডি এর সভাপতি আ.স.ম. আবদুর রব এবং সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক। অন্য অংশ জাসদ এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এই অংশ ১৪ দলীয় জোট এবংবর্তমান  মহাজোট সরকারের সাথে শরিক দল।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ তারা

সভাপতিঃ আ স ম আবদুর রব

সাধারণ সম্পাদকঃ আবদুল মালেক রতন

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৬৫, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ (৪র্থ তলা), ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: jsdoffice.1972@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১৬ নাম্বারে আছে

জাকের পার্টি

জাকের পার্টি বাংলাদেশের একটি ইসলামী দল। দলটির বর্তমান নেতা হলেন মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী।

প্রতিষ্ঠা

জাকের পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮৯ সালে আত্মপ্রকাশ করে।  এর আগে ১৯৮৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাকের সংগঠন নামে যাত্রা শুরু হয়। আটরশির তৎকালীন পীর সাহেব ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ১৯৮৯ সালে জাকের পার্টির ফলক উন্মোচন করেন।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ গোলাপ ফুল

চেয়ারম্যানঃ মোস্তফা আমীর ফয়সল

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবঃ শামীম হায়দার

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ বাড়ি নং#১৯,ব্লক# আই রোড#৩, বনানী, ঢাকা- ১২১৩।

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১৭ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল, সংক্ষেপে বাসদ হচ্ছে বাংলাদেশের একটি কমিউনিস্ট দল। দলটি বাংলাদেশে বামপন্থীদের জোটবদ্ধ সংগঠন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে একত্রে কাজ করে থাকে। দলটির মাসিক মুখপত্রের নাম ভ্যানগার্ড।

ইতিহাস

বাসদ ১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্নপ্রকাশ করে। বাংলাদেশের শোষণমূলক পুঁজিবাদী আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন করে শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এই দলের উদ্দেশ্য। সাম্যবাদ এই দলের চূড়ান্ত লক্ষ্য।

২০১৩ সালে দলটিতে শিবদাস ঘোষকে আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের অথরিটি হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ার কারণে কিছু নেতা দল থেকে বেরিয়ে এসে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) গঠন করেন।

প্রথম কংগ্রেস

বাসদের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠার ৪২ বছর পরে ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ৪ মার্চ। কংগ্রেসে বজলুর রশীদ ফিরোজ হন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং সহ সাধারণ সম্পাদক হন রাজেকুজ্জামান রতন। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন আব্দুল কুদ্দুস, নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত নান্টু, আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যক্ষ ওয়াজেদ পারভেজ, রোশনারা রুশো, সাইফুল ইসলাম পল্টু, জুলফিকার আলী, নব কুমার কর্মকার, শফিউর রহমান শফি, প্রকৌশলী শম্পা বসু, এবং ডাঃ মণিশা চক্রবর্তী।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ মই

সাধারণ সম্পাদকঃ কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২৩/২ তোপখানা রোড (৩য় তলা), থানা- শাহবাগ, জিপিও ঢাকা- ১০০০।

ইমেইল: mail@spb.org.bd

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১৮ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি ।।Bangladesh National Party-BJP ।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। নাজিউর রহমান মঞ্জুরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় দলটি জাতীয় পার্টি (নাজিউর) নামেও পরিচিত।

ইতিহাস

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপি ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশর অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি’র সাথে জোটবদ্ধ হয়ে রাজনীতি করতো। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক জোট সমূহের অন্যতম ২০ দলীয় জোটের সবচেয়ে পুরনো দলগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি। ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ী বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ নেবার ঘটনার প্রেক্ষিতে এই দলটি ২০ দলীয় জোট ত্যাগের ঘোষণা দেয়।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ

মূল দল জাতীয় পার্টি হতে বিভক্ত এই দলটি ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে চার দলীয় জোটের অংশ হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ৪ টি আসন লাভ করে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে সরকার গঠন করে। ২০০৯ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা থেকে নির্বাচিত হন।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ গরুরগাড়ী

চেয়ারম্যানঃ আন্দালিব রহমান পার্থ

মহাসচিবঃ আব্দুল মতিন সাউদ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৫০, ডি আই টি এক্সটেনশন রোড, ইষ্টার্ণভিউ (৫ম তলা), নয়া পল্টন, ঢাকা-১০০০।

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ১৯ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন বাংলাদেশের একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দল।

ইতিহাস

বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ২০০৫ সালে সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামীর সাথে জোট থাকায় তারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ছেড়ে দিয়েছিল। তাদের অভিযোগ ছিল জামায়াতে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে। বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন ২০১৪ সালের বাংলাদেশ সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং দুটি সংসদীয় আসনও লাভ করে।

তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আওয়াল ২০১৭ সালে ইসলামী দলগুলোর একটি জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। পরিকল্পিতী জোটে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ফরায়েজি আন্দোলন, ইমাম-উলামা পরিষদ, এবং ইসলামী ওআইসি জোটের অন্তর্ভুক্ত হবে। এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেন দলের সভাপতি সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি। ১৭ এপ্রিল ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সৈয়দ নাজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি মহাসচিবের পদ থেকে এম এ আওয়ালকে অপসারণ করেন। এম এ আওয়ালের স্থলে তিনি দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীকে মনোনীত করেন। গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্সের অধীনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ৩০ টি আসন চায় দলটি।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ ফুলের মালা

চেয়ারম্যানঃ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এম পি

মহাসচিবঃ সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ফ্ল্যাট নংএ-১, বাড়ী নং ৫১/এ, রোড নং ৬/এ, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা

ইমেইল: lnmaawal@yahoo.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২০ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল। আতাউল্লাহ হাফেজ্জী এই দলের আমীর এবং হাবিবুল্লাহ মিয়াজী মহাসচিব।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ বটগাছ

আমীরঃ হযরত মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী রহ.

মহাসচিবঃ মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৩১৪/২, জে এন সাহা রোড, কিল্লার মোড়, লালবাগ, ঢাকা-১২১১

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২১ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল যা ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সকল দলের সাথে এ দলটিও নিষিদ্ধ ছিল এবং ১৯৭৬ সালে আইনগতভাবে বৈধতা পায়। এরপরে আবদুস সাবুর খান মুসলিম লীগকে পুনরুজ্জীবিত করেন এবং দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর তার একজন নেতা শাহ আজিজুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন।

ইতিহাস

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ১৯০৬ সালে ঢাকায় ব্রিটিশ রাজ্যের অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। মুঘলদের সমর্থন ও ভারতবর্ষের অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতা না করে ভারতের মুসলমানদের রক্ষা করার লক্ষ্যে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

১৯৪৭ সালে ভারতের বিভাজন ও পাকিস্তান স্বাধীনতার পর, অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ পাকিস্তান মুসলিম লীগ হয়ে ওঠে। পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ক্ষমতায় আসে। পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৫৫ সালের নির্বাচনে ইউনাইটেড ফ্রন্টে প্রাদেশিক আইন পরিষদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ১৯৬০-এর দশকে মুসলিম লীগ দুটি পৃথক দল, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগে বিভক্ত হয়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পূর্ব পাকিস্তান হয়ে ওঠে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগ সহ সকল ধর্ম ভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯৭৬ সালে রাজনৈতিক দলসমূহ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ পাস করা হয় যা উভয় পক্ষকে বৈধতা করে দেয়। এরপর উভয় দল একত্রিত হয় এবং ১৯৭৬ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশ মুসলিম লীগ গঠিত হয়।

১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ দুটি ভগ্নাংশে বিভক্ত হয়েছিল। আবদুস সবুর খান দলটির রক্ষণশীল ভগ্নাংশের নেতৃত্ব দেন এবং শাহ আজিজুর রহমান উদারপন্থী ভগ্নাংশের নেতৃত্ব দেন। আজিজুর রহমান শীঘ্রই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে আবদুস সবুর খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সংসদ নির্বাচনে ২০ টি আসন জিতেছিল।

সাবুর খানের মৃত্যুর পর, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একাধিক ভগ্নাংশে বিভক্ত হয়ে যায়। দুইটি বিভক্ত অংশ (বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ - বিএমএল) এখনও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিবন্ধিত।

বাংলাদেশ মুসলিম লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহম্মদ বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা ও সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ হারিকেন

সভাপতিঃ বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা

মহাসচিবঃ আলহাজ্ব কাজী আবুল খায়ের

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ১১৬/২, বক্স কালভার্ট রোড(৫ম তলা) নয়া পল্টন ঢাকা-১০০০।

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২১ নাম্বারে আছে

ন্যাশনাল পিপলস্‌ পার্টি (এনপিপি)

ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা শওকত হোসেন নিলুর নেতৃত্বে ১৯ জুলাই ২০০৭ সালে এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটি বর্তমানে দুইটি অংশে বিভক্ত। একটি বিশ দলীয় জোটের শরিক অপরটি এনডিএফ নামে নতুন জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ আম

চেয়ারম্যানঃ শেখ ছালাউদ্দিন ছালু

মহাসচিবঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুল হাই মন্ডল

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৩১/১, শরীফ কমপ্লেক্স (৬ষ্ঠ তলা), পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২৩ নাম্বারে আছে

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। ব্রিটিশ ভারতে ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ, যা অখণ্ড ভারতের পক্ষে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যায়। পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে তার থেকে ১৯৪৫ সালে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম। স্বাধীনতা উত্তর পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জমিয়ত, নেজামে ইসলাম পার্টি নামে নিজেদের নির্বাচনি সেল গঠন করে ৩৬টি আসনে জয়লাভ করে। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে পাকিস্তানে সমস্ত রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হয়। সামরিক শাসন পরবর্তী জমিয়ত নেতাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হলে পূর্বে গঠিত জমিয়তের নির্বাচনি সেল নেজামে ইসলাম পার্টি একটি স্বতন্ত্র দলের রূপ ধারণ করতে থাকে। অন্যদিকে ১৯৬৪ সালে আশরাফ আলী বিশ্বনাথীর আহ্বানে সিলেট বিভাগীয় কমিটি গঠনের মাধ্যমে জমিয়তের আরেক অংশ সংগঠিত হয়, যারা মূলত ছিল পূর্বের জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের পূর্ব পাকিস্তান অংশের কর্মী। ১৯৬৭ সালে জমিয়ত স্পষ্টতঃ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়। অন্যভাগ নেজামে ইসলাম পার্টি নামে কার্যক্রম চালিয়ে যায়। জমিয়ত ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ইসলামি দলগুলোর মধ্যে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সর্বাধিক আসন লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ এটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান জমিয়তের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং দলের বর্তমান নামটি গ্রহণ করে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ধর্মভিত্তিক দল নিষিদ্ধ হলেও এটি নিষিদ্ধ হয় নি। স্বাধীন বাংলাদেশে এটি ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। নব্বইয়ের দশকে এটি মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাওবার রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে এবং সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদে যোগ দেয়। ১৯৯০ সালে এটি ইসলামী ঐক্যজোটে অংশগ্রহণ করে। ইসলামী ঐক্যজোটের অংশ হিসেবে ১৯৯৯ সালে এটি বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে যোগদান করে এবং ২০০১ সালে সরকার গঠনে অংশীদার হয়। চার দলীয় জোট পরবর্তীতে বিশ দলীয় জোটে পরিণত হয়। ২০২১ সালে এটি বিশ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যায়। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে এটি সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিল। ২০২০ সালে গঠিত হেফাজতের ১৫১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জমিয়তের নেতা ছিল ৩৪ জন।

স্বাধীন বাংলাদেশে জমিয়তের প্রথম সভাপতি ছিলেন তাজাম্মুল আলী ও প্রথম মহাসচিব ছিলেন শাহ আহরারুজ্জামান। দলটির বর্তমান সভাপতি জিয়া উদ্দিন ও মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দলটিতে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। এসময় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধিত নামে সভাপতি ছিলেন আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ি ও মহাসচিব নূর হুসাইন কাসেমী। তারা মুহাম্মদ ওয়াক্কাসকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তিনি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একই নামে ১২১ সদস্য বিশিষ্ট জমিয়তের আরেকটি কমিটি গঠন করেন। আব্দুল মোমিন ইমামবাড়ির মৃত্যুর পর সভাপতির দায়িত্বে আসেন জিয়া উদ্দিন এবং নূর হুসাইন কাসেমীর মৃত্যুর পর মহাসচিব পদে আসেন মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। ইতিপূর্বে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে জমিয়ত থেকে বের হয়ে ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামা এবং আলিমুদ্দিন দুর্লভপুরী জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ গঠন করেন।

ইতিহাস

জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ

মূল নিবন্ধসমূহ: জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ  ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে দারুল উলুম দেওবন্দের অবদান

মাহমুদ হাসান দেওবন্দি (১৮৫১–১৯২০)

ব্রিটিশদের শাসন থেকে ভারতকে স্বাধীন করার জন্য ভারতীয় মুসলমানরা ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ সংগঠিত করে। সিপাহি বিদ্রোহের ধারাবাহিকতায় শামলীর যুদ্ধ সহ এই বিদ্রোহে পরাজয়ের পর তার ক্ষতি মিটানোর জন্য কাসেম নানুতুবির নেতৃত্বে কয়েকজন আলেম ১৮৬৬ সালের ৩০ মে দেওবন্দের সাত্তা মসজিদের ডালিম গাছের নিচে দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করে। এই মাদ্রাসার প্রথম শিক্ষক মাহমুদ দেওবন্দি ও প্রথম ছাত্র ছিলেন মাহমুদ হাসান দেওবন্দি৷ পরবর্তীতে মাহমুদ হাসান দেওবন্দি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান শিক্ষকের পদে অধিষ্ঠিত হন এবং তার ছাত্রদের মাধ্যমে তিনি সশস্ত্র বিপ্লব গড়ে তুলতে স্বচেষ্ট হন। তিনি পর্যায়ক্রমে সামরাতুত তারবিয়াত, জমিয়তুল আনসার, নাযারাতুল মাআরিফ আল কুরআনিয়া গঠন করেন। তার রেশমি রুমাল আন্দোলন ফাঁস হয়ে গেলে তিনি মাল্টায় নির্বাসিত হন। এরই মধ্যে তার ছাত্ররা ভারতে জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ গঠন করেন। কারামুক্ত হয়ে ভারতে প্রত্যাবর্তন করে তিনি জমিয়তের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের একমাসের মাথায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন৷ জমিয়ত খিলাফত আন্দোলন  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাথে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। পরবর্তীতে জমিয়তের নেতৃত্বে আসেন দারুল উলুম দেওবন্দের অধ্যক্ষ হুসাইন আহমদ মাদানি। তিনি অখণ্ড ভারতের দাবিতে কংগ্রেসের সাথে মিলে স্বাধীনতা সংগ্রাম চালিয়ে যান। ১৯৪৫ সালের ১১ জুলাই দারুল উলুম দেওবন্দের সদরে মুহতামিম শাব্বির আহমদ উসমানির নেতৃত্বে আরেকটি দল জমিয়ত থেকে বের হয়ে জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম গঠন করে পাকিস্তান আন্দোলনকে সমর্থন করেন, যাদের তাত্ত্বিক গুরু ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দের আরেক ছাত্র আশরাফ আলী থানভী।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ খেজুরগাছ

সভাপতিঃ মাওলানা শায়েখ আবদুল মোমিন

মহাসচিবঃ মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমী

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ লেভেল ১০, রুম নং ১০০৩/এ, ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা।

ইমেইল: jamiateulamaeislambangladesh@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২৪ নাম্বারে আছে

গণফোরাম

গণফোরাম বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। ড: কামাল হোসেন এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। গণফোরাম ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ উদীয়মান সূর্য

সভাপতিঃ ড. কামাল হোসেন

সাধারণ সম্পাদকঃ মোস্তফা মোহসীন মন্টু

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ইডেন কমপ্লেক্স, ২/১-এ, আরামবাগ, ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: gonoforumbd@yahoo.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২৫ নাম্বারে আছে

গণফ্রন্ট

নির্বাচীত প্রতীকের নামঃ মাছ

চেয়ারম্যানঃ মোঃ জাকির হোসেন (কর আইনজীবি)

মহাসচিবঃ আহমেদ আলী শেখ (এডভোকেট সুপ্রীম কোর্ট)

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২৭/৮-এ/ক তোপখানা রোড, বিজয়নগর, ঢাকা-১০০০। জি.পি.ও বক্স নং-২১৫৯

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২৬ নাম্বারে আছে

প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)

প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি বাংলাদেশের একটি তুলনামূলক নতুন প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। এটি 'পিডিপি' নামে পরিচিত। এই দলটি ২১ জুন ২০০৭ তারিখে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়, যদিও সেই সময়ে জরুরি অবস্থার কারণে উন্মুক্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ বাঘ

চেয়ারম্যানঃ ড. ফেরদৌস আহমদ কোরেশী

মহাসচিবঃ প্রিন্সিপাল এম এ হোসেন

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৮/৪-এ, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা- ১০০০।

ইমেইল: ma_hossain12@icloud.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২৭ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ

বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ "ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ" বাংলাদেশের একটি বাম বলয়ের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসে এই দলটি গঠিত হয়।

১৯৫৭ সালের ৬-১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মধ্যে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদীদের স্বার্থ রক্ষার স্যান্টো ও সিয়েটা চুক্তি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ প্রশ্নে দলের ডানপন্থী পাতি বর্জোয়া নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দীর পক্ষাবলম্বন করেন এবং বামপন্থী অংশ মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে স্বাধীন ও জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি এবং পূর্ব-পাকিস্তানের সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলেন। ফলে আওয়ামী লীগ আদর্শিক কারণে বিভক্ত হয়ে পড়ে। ঐ বছর ১৮ মার্চ মওলানা ভাসানী পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ত্যাগ করেন। আওয়ামী লীগের বামপন্থী এবং স্বায়ত্তশাসনের দাবিদার অংশের উদ্যোগে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ২৪-২৫ জুলাই গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠিত হয়। ন্যাপের সভাপতি নির্বাচিত হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সম্পাদক নির্বাচিত হন পশ্চিম পাকিস্তানের মাহমুদুল হক ওসমানী। ন্যাপের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন পূর্ববাংলা থেকে হাজী মুহাম্মদ দানেশ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মহিউদ্দিন আহমদ, মশিউর রহমান (যাদু মিয়া), পীর হাবিবুর রহমান, এস.এ আহাদ, আবদুল মতিন, আবদুল হক, আতাউর রহমান এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ছিলেন ওয়ালি খান, আবদুল মজিদ সিন্ধী, মিয়া ইফতেখার প্রমুখ।

ন্যাপের মূল লক্ষ্য ও আদর্শ ছিল পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা।

১৯৫৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ন্যাপের উদ্যোগে ব্রহ্মপুত্র নদের চরে ফুলছড়িতে কৃষক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় এবং ঐ সম্মেলনে ‘কৃষক সমিতি’ গঠিত হয়। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান ক্ষমতা দখল করে মওলানা ভাসানীকে গ্রেফতার করেন। বন্যাদুর্গতদের সাহায্যের দাবিতে মওলানা ভাসানী কারাগারে আমরণ অনশন শুরু করেন। মওলানা ভাসানীর আহবানে সর্বদলীয় প্রত্যক্ষ ভোটাধিকার সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৬৪ সালের ১৮ মার্চ সর্বজনীন ভোটাধিকার দিবস পালিত হয়। ১৯৬৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ন্যাপ সংযুক্ত বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে মিস ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে।

৬০ দশকে সারা পৃথীবিতে সাম্য প্রতিষ্ঠা ও গণমানুষের মুক্তির সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তার প্রভাব নিখিল পাকিস্থান ন্যাপ এর উপরও পড়ে। ফলে ১৯৬৭ সালের দিকে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় কারণে ন্যাপ নেতৃবৃন্দের মধ্যে মতবিরোধ চলতে থাকে। ১৯৬৭ সালের কাউন্সিল অধিবেশনের পূর্বে মস্কোপন্থী নেতারা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা চালায়। তাই মশিউর রহমান যাদু মিয়ার পরামর্শে রংপুরে কাউন্সিল অধিবেশন আহ্বান করা হয়। ১৯৬৭ সালের ৩০ নভেম্বর রংপুরে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনের পর দেশিয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রশ্নে ন্যাপ চীনপন্থী ও মস্কোপন্থী এ দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চীনপন্থী ন্যাপের সভাপতি হন মওলানা ভাসানী এবং মস্কোপন্থী ন্যাপের সভাপতি হন সীমান্ত প্রদেশের খান আবদুল ওয়ালী খান। পূর্ব পাকিস্তান ওয়ালী ন্যাপের সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। এ অংশ মোজাফফর ন্যাপ নামেও পরিচিত হয়।

১৯৬৭ সালে মওলানা ভাসানী ন্যাপের কাউন্সিল ও কৃষক সমিতির অধিবেশন আহবান করেন। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় রিকুইজিশন কাউন্সিল অধিবেশন। ১৯৬৮ সালে মওলানা ভাসানির নেতৃত্বে ন্যাপ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানব্যাপী গণঅভ্যূত্থানের সূচনা করে। ১০ দফা দাবির ভিত্তিতে ৩ নভেম্বর ‘দাবি দিবস’ এবং ৬ ডিসেম্বর ‘জুলুম প্রতিরোধ দিবস’ পালিত হয়। ঐদিন পল্টনে এক জনসভা শেষে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে জনগণ গভর্ণর হাউজ ঘেরাও করে এবং ৭ ডিসেম্বর হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঢাকায় হরতালের দিন পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ৮ ও ১০ ডিসেম্বর সারা প্রদেশব্যাপী হরতাল আহবান করা হয়।

১৯৭২ সালে ন্যাপ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণতান্ত্রিক সরকারের এক কর্মসূচি ঘোষণা করে। ১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ভাসানীর নেতৃত্বে ৭ দলীয় মোর্চা গঠিত হয়। ভাসানী ন্যাপ ১৬৯টি আসনে প্রার্থী দেয়। কিন্তু প্রশাসনিক নগ্ন পক্ষপাত্তিত্বের ফলে ৭ দলীয় মোর্চা নির্বাচন থেকে সরে আসে । দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাদ্যশস্যের দুষ্প্রাপ্র্যতার প্রতিবাদে মওলানা ভাসানী ১৯৭৩ সালের ১৫ থেকে ২২ মে ঢাকায় অনশন করেন। মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যজোট খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকে। সরকার ১৯৭৩ সালের ৩০ জুন মওলানা ভাসানীকে সন্তোষে তাঁর বাড়িতে গৃহবন্দি করে।

১৯৭৩ সালে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ন্যাপ, জাতীয় লীগ (অলি আহাদ), জাতীয় লীগ (আতাউর রহমান), জাতীয় গণমুক্তি ইউনিয়ন (হাজী দানেশ), কৃষক শ্রমিক সমাজবাদী দল (খান সাইফুর রহমান), কমিউনিস্ট পার্টি (নাসিম আলী), লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সমন্বয়ে এক বিরোধী ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। ১৯৭৪ সালের ১৬ মে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষরিত হলে ন্যাপ এই চুক্তির বিরোধিতা করে।

১৯৭১ সালে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ন্যাপ'র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ১৫ মে ভাসানী ন্যাপের এডহক কমিটি গঠন করা হয় এবং কেন্দ্রীয় ন্যাপ পুনরায় বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৫ জুলাই জাতীয় রিকুইজিশন কাউন্সিল অধিবেশন ডাকা হয়। দলের তরুণ বামপন্থী অংশ কাজী জাফর আহমদ ও রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনাইটেড পিপল্স পার্টি (ইউপিপি) গঠন করে। কাজী জাফর আহমদ ও রাশেদ খান মেনন ইউপিপি গঠন করলে মূল ন্যাপের দায়িত্ব মশিউর রহমান যাদু মিয়ার উপর ন্যাস্ত হয়। ১৯৭৪ কাউন্সিল অধিবেশনে মওলানা ভাসানী সভাপতি ও যাদু মিয়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন করলে ন্যাপ মোজ্জাফর ন্যাপ বিলুপ্ত করে বাকশালে যোগ দেন। আর মওলানা ভাসানি ও যাদু মিয়ার নেতৃত্বে বাকশালের তীব্র বিরোধীতা করে। বাকশালের বাইরে থাকা ন্যাপের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে জিয়াউর রহমান একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার উদ্যোগ নিলে সারা বাংলাদেশে ন্যাপের সকল নেতা কর্মী নিয়ে মশিউর রহমান যাদু মিয়া ও জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেন।

ন্যাপ এর পূর্নগঠন: জিয়া পরবর্তী জাতীয়তাবাদী দল ভিন্ন ধারায় প্রবাহিত হলে মশিউর রহমানের সুযোগ্য পুত্র শফিকুল গনি স্বপন ২০০৬ সালে মওলানা ভাসানির আদর্শ ও চেতনাকে ধারন করে এদেশের প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী তরুণদের নিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নামে পূর্নগঠন করেন।

ন্যাপ এর বর্তমান নেতৃত্ব: বরেন্য রাজনীতিবিদ মশিউর রহমান যাদু মিয়ার দৌহিত্র জেবেল রহমান গানি ২০০৯ সালে এই উপমহাদেশের ঐতিয্যবাহী দলটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তৃনমূল রাজনীতিক তরুণ জাতীয়তাবাদী নেতা জ্বনাব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ দলটির মহা সচিব ।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ গাভী

চেয়ারম্যানঃ জেবেল রহমান গাণি

মহাসচিবঃ এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৮৫ নয়াপল্টন (৬ষ্ঠ তলা), মসজিদ গলি, ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: sgbnap1957@gmail.com, jghaani.bdnap@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ২৮ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ কাঁঠাল

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানঃ প্রফেসর ডাঃ এম, এ, মুকিত

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবঃ এ এন এম সিরাজুল ইসলাম

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ১১৬ শান্তিনগর, ঢাকা-১২১৭।

ইমেইল: bangladeshjatiyaparty@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩০ নাম্বারে আছে

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল। এটি দেশের সর্বস্তরে কুরআন সুন্নাহর আইন বাস্তবায়নের জন্য ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এটি দেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনে দলটি অংশগ্রহণ করে থাকে। দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মোঃ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী এবং মহাসচিব হলেন জয়নুল আবেদীন জুবাইর। এই দলের নির্বাচনী প্রতীক চেয়ার।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ চেয়ার

চেয়ারম্যানঃ সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী

মহাসচিবঃ আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন জুবাইর

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৬০/১, তৃতীয় তলা, পুরানা পল্টন (বায়তুল মোকাররম উত্তর পূর্ব গেইট), ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: islamicfrontbd@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩১ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি বাংলাদেশের একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এর প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক। তিনি বর্তমানে দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও এবি পার্টির সাবেক সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল মামুন মহাসচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। দলটি বিশ দলীয় জোটের একটি শরীক দল।

ইতিহাস

২০০৬-০৮ সালে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সঙ্কটের সময়, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ডিসেম্বর ২০০৭ সালে "বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি" নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৮ সালে দলটি কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় যুক্তফ্রন্টে যোগ দেয়। সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ৫ ডিসেম্বর ২০১৫ এ পুনরায় দলের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমানে দলটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সদস্য।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ হাতঘড়ি

চেয়ারম্যানঃ মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীর প্রতীক

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবঃ এম এম আমিনুর রহমান

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ বাড়ী নং - ৩২৫, লেইন নং-২২, নিউ ডি ও এইচ এস মহাখালী, ঢাকা- ১২০৬। জাতীয় /ঢাকা মহানগর কার্যালয়: ৮৫, নয়া পল্টন (৬ষ্ঠ তলা), ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: kallyanparty07@gmail.com

ওয়েব এ্যাড্রেস: www.bkp-bd.org

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩২ নাম্বারে আছে

ইসলামী ঐক্যজোট

ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। দলটির বর্তমান চেয়ারম্যানের নাম আবুল হাসানাত আমিনী এবং মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ। ২০০১ সালের অক্টোবর ১ তারিখে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির সাথে জোট বেঁধে এটি ৩০০ আসনের মধ্যে ৪টি আসনে জয়লাভ করে।

সূচনা

ইসলামী ঐক্যজোটের যাত্রা শুরু হয় ১৯৯০ সালের ২২ ডিসেম্বর। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মূলত এই দলটি গঠন করা হয়।

প্রাথমিক যাত্রা

তৎকালীন ছয়টি ইসলামি দল নিয়ে গঠন করা হয় এই জোট। দলগুলো হচ্ছে- খেলাফত মজলিস, খেলাফত আন্দোলন, নেজামে ইসলামী পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (বর্তমান ইসলামী আন্দোলন), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও ফরায়েজী আন্দোলন। জোট গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক, চরমোনাইর পীর মাওলানা ফজলুল করিম, মাওলানা আবদুল করিম শায়খে কৌড়িয়া, মাওলানা আশরাফ আলী ধর্মান্ডুলি, মাওলানা মুহিউদ্দিন খান ও মাওলানা আহমাদুল্লাহ আশরাফ।

সাফল্য

১৯৯১ সালের নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট মিনার প্রতীকে নির্বাচন করে সিলেটের একটি আসনে বিজয়ী হয় ইসলামী ঐক্যজোট প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল হক।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনে ইসলামী ঐক্যজোট একটি আসন লাভ করে।

২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির শরিক হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে ইসলামী ঐক্যজোট চারটি আসন লাভ করে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ মিনার

চেয়ারম্যানঃ মাওলানা মোঃ আবদুল লতিফ নেজামী

মহাসচিবঃ মুফতী ফয়জুল্লাহ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৫৭, কাজী রিয়াজউদ্দীন রোড, লালবাগ, ঢাকা-১২১১।

ইমেইল: islamioikyajote@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩৩ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। ইসমাইল নূরপুরী এই দলের আমীর এবং মামুনুল হক সাধারণ সম্পাদক। দলটির নির্বাচনী প্রতীক হল রিকশা।

ইতিহাস

খেলাফত মজলিস ১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর আজিজুল হক নেতৃত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন, আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী যুব শিবির, ভাসানীর ন্যাপের একাংশের নেতা, তমদ্দুন মজলিসের সংগঠক ভাষাসৈনিক মসউদ খানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠত হয়। প্রথম আমির ছিলেন আবদুল গফফার। তারপর আমির হন আজিজুল হক। তার অবর্তমানে আমির হন প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান। ২০০৫ সালে খেলাফত মজলিস দুই ভাগ হয়ে যায়। একটি ভাগ খেলাফত মজলিস নামে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে যায়। অপর ভাগটি জোট থেকে বেড়িয়ে গিয়ে ‘বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’ নাম ধারণ করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাথে আওয়ামী লীগের ৫ দফা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ওই চুক্তিতে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার ছিল, তারা নির্বাচিত হলে কুরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো আইন করবে না। বামপন্থীদের চাপে সে চুক্তি কার্যকর করা যায় নি।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ রিক্সা

আমীরঃ প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান

মহাসচিবঃ মাওলানা মাহফুজুল হক

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৫৯/৩/৩ পুরানা পল্টন (৫ম তলা) ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: bdkhelafatmajlis@yahoo.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩৪ নাম্বারে আছে

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (পূর্বনাম ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন) বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। দলটির বর্তমান আমির সৈয়দ রেজাউল করিম, নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করিম এবং মহাসচিব ইউনুস আহমাদ। ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ বিভিন্ন ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনের যৌথ প্রয়াসের ফলে ইসলামি শাসনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঐক্যপ্রয়াসী একটি ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলন হিসেবে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে এর আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরবর্তীতে আন্দোলনে অনৈক্য ও ভাঙ্গনের ফলে এটি চরমোনাই পীর সৈয়দ ফজলুল করিমের নেতৃত্বে একটি একক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। মূলত ১৯৯১ সাল থেকে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক দল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। ২০০৮ সালে নিবন্ধন জটিলতায় এটি নাম পরিবর্তন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয় এবং হাতপাখা প্রতীক লাভ করে। বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এটি এককভাবে অংশগ্রহণ করে তৃতীয় স্থান লাভ করে।

চরমোনাই পীর ঐতিহ্যগতভাবে দলের আমির বা প্রধান নেতা হন। দলের প্রতিষ্ঠাতা চরমোনাই পীর সৈয়দ ফজলুল করিমের শিকড় দারুল উলুম দেওবন্দে বিশেষত দেওবন্দের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রশিদ আহমদ গাঙ্গুহি। দেওবন্দমুখী কওমি মাদ্রাসা ও উলামাদের পাশাপাশি সারাদেশে বিপুল সংখ্যক মুরিদ ও পীরের অনুসারী দলটির সমর্থন-ভিত্তি গঠন করে। দলের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দাওয়াহ, সংগঠন, জ্ঞান আহরণ এবং প্রশিক্ষণ, জনগণের ঐক্য, মানবতার সেবা, সামাজিক ও শিক্ষার সংস্কার ও অর্থনৈতিক মুক্তি, ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ, সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ইসলামী নীতির ভিত্তিতে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য গণআন্দোলন পরিচালনা। "শুধু নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই", দলটির মূল স্লোগান।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ হাতপাখা

আমীরঃ মুফতা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)

মহাসচিবঃ অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ৫৫/বি, পুরানা পল্টন (৩য় তলা), ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: islamicandolanbd@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩৫ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম'আতের পতাকাবাহী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত অন্যতম একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল। সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক নির্বাচনে দলটি অংশগ্রহণ করে থাকে।

প্রতিষ্ঠা

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২১ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, কোরআন-সুন্নাহর আলোকে বাংলাদেশে সুন্নী মতাদর্শ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করাই বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের লক্ষ্য।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ মোমবাতি

চেয়ারম্যানঃ আল্লামা এম, এ, মান্নান

মহাসচিবঃ এম, এ, মতিন

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২০৫/৫, বশির প্লাজা (৬ষ্ঠ তলা), ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০।

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩৬ নাম্বারে আছে

জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটি-জাগপা

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) বাংলাদেশের একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। এর প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধান। ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল রমনার সবুজ চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি জাগপা গঠন করেন। বর্তমান সভাপতি তাসমিয়া প্রধান। দলটি বিশ দলীয় জোটের একটি শরীক দল। ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর নিবন্ধন বাতিল করে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ হুক্কা

ভারপ্রাপ্ত সভাপতিঃ ব্যারিষ্টার তাসমিয়া প্রধান

সাধারণ সম্পাদকঃ খন্দকার লুৎফর রহমান

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ সড়ক-১, বাড়ী-২, আসাদ গেট রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭।

ইমেইল: info@jagpa.org

ওয়েবসাইট: www.jagpa.org

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩৭ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে বিভক্ত হয়ে গড়ে ওঠে। দলটি বাংলাদেশে বামপন্থীদের জোটবদ্ধ সংগঠন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে একত্রে কাজ করে থাকে।

এই দলের গণসংগঠনসমূহ হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক ইউনিয়ন, বিপ্লবী কৃষক সংহতি এবং শ্রমজীবী নারী মৈত্রী। এছাড়া ছাত্র গণসংগঠন বিপ্লবী ছাত্র সংহতি। দলটি প্রকাশ করে জনগণতন্ত্র।

ইতিহাস

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২০০৪ সালের পরে দীর্ঘকাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নামটি ব্যবহার করত। দলের সভাপতি ছিলেন খন্দকার আলী আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সাইফুল হক। ১৪ জুন, ২০০৪ সালে এই গ্রুপটি 'বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি' থেকে বেরিয়ে আসে। এরা আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ যৌথ কর্মসূচির কৌশলের বিরোধিতা করে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ কোদাল

সাধারণ সম্পাদকঃ সাইফুল হক

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ২৭/৮-এ, ৪র্থ তলা, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা

ইমেইল: biplabiworkersparty@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৩৮ নাম্বারে আছে

খেলাফত মজলিস

খেলাফত মজলিস বাংলাদেশের একটি ইসলামী রাজনৈতিক দল। দলটির আমির মোহাম্মদ ইসহাক, মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের। দলটির নির্বাচনী প্রতীক হল দেওয়াল ঘড়ি।

ইতিহাস

৮ ডিসেম্বর ১৯৮৯ সালে ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে তৎকালীন শায়খুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হকের নেতৃত্ত্বাধীন খেলাফত আন্দোলন ও আহমদ আবদুল কাদেরের নেতৃত্ত্বাধীন যুব শিবির মওলানা ভাসানীর ন‌্যাপের একাংশের নেতা , তমদ্দুন মজলিসের সংগঠক ভাষাসৈনিক অধ‌্যক্ষ মসউদ খান এর নেতৃত্বে একীভূত হয়ে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস আত্মপ্রকাশ করে।

দলটি ৯০’র স্বৈরাচার পতন আন্দোলন, ভারতের বাবরী মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদ ও বাবরী মসজিদ পুনঃ নির্মাণের দাবীতে বাবরী মসজিদ লং মার্চ, ৯৪ সালের নাস্তিক-মুরতাদ তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলন, ২০০০-২০০১ সালে গণ-বিরোধী, শেখ হাসিনা সরকার বিরোধী ৪ দলীয় জোটের আন্দোলন, ১/১১ পরবরতী তত্ত্বাধায়ক সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।

২০০৮ সালে খেলাফত মজলিস সরকারী ভাবে নিবন্ধন লাভ করে।

খেলাফত মজলিস বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দল। তবে ২০০৫ সালে খেলাফত মজলিস ভেঙে দুই টুকরো হয়ে যায়। একটি ভাগ ‘খেলাফত মজলিস’ নামে বিএনপি জোটে থেকে যায়। অপর ভাগটি জোট থেকে আলাদা হয়ে ‘বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’ নাম ধারণ করে এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের সাথে সখ্য গড়ে তোলে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ দেওয়াল ঘড়ি

আমীরঃ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক

মহাসচিবঃ ড. আহমদ আবদুল কাদের

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ১৬, বিজয়নগর, ৫ম তলা (বিজয়নগর পানির ট্যাংকির পূর্ব পার্শে) ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: khelafatmajlis@gmail.com

ওয়েব এ্যাড্রেস: www.khelafatmajlis.org

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৪০ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ হাত (পাঞ্জা)

সভাপতিঃ জনাব এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান খান

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবঃ জনাব এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ বাড়ি নং- ১১০, সড়ক নং-২৭, ব্লক-এ, বনানী মডেল টাউন, ঢাকা-১২১৩।

ইমেইল: advzbchybmlgs@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৪১ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। আব্দুর রাজ্জাক মুল্লাহ্ রাজু শিকদার হলেন সংগঠন প্রধান ও আবু লায়েস মুন্না হলেন পরিচালনা বোর্ড প্রধান। দলটির নির্বাচনী প্রতীক হচ্ছে ছড়ি।

ইতিহাস

২০০০ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ৮ অক্টোবর ২০১৩ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন লাভ করে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ ছড়ি

সংগঠন প্রধানঃ জনাব আব্দুর রাজ্জাক মুল্লাহ্ রাজু শিকদার

পরিচালনা বোর্ড প্রধানঃ জনাব আবু লায়েস মুন্না

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ১২৮/৩, পূর্ব তেজতুরী বাজার, কাওরান বাজার, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫।

ইমেইল: info@muktijot.org

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৪২ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। আবুল কালাম আজাদ দলটির চেয়ারম্যান এবং ঢাকা-১৭-এর সংসদ সদস্য।

ইতিহাস

নাজমুল হুদা ৬ জুন ২০১২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে পদত্যাগ করার পর সেই বছরের ১০ই আগস্ট বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন লাভ করে।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ টেলিভিশন

প্রেসিডেন্টঃ এস এম আবুল কালাম আজাদ

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ গ-১১/১,(৩য় তলা), প্রগতি স্বরনী রোড, শাহজাদপুর, গুলশান, ঢাকা-১২১২ (মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এর বিপরীতে)।

ইমেইল: bnf.azad@gmail.com

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৪৩ নাম্বারে আছে

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম হচ্ছে বাংলাদেশের একটি নবগঠিত রাজনৈতিক দল। ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে ২০১৭ সালের ২৪ শে এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয়। নিবন্ধন নং ৪৩ এবং প্রতীক সিংহ।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ সিংহ

চেয়ারম্যানঃ ববি হাজ্জাজ

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবঃ হুমায়ুন পারভেজ খান

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ বাড়ী নং-৫১/এ, রোড নং-৬এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯।

ইমেইল: communication.ndm@gmail.com

ওয়েব সাইট: www.ndmbd.org

 

বাংলাদেশে নিবন্ধিত দলের তালিকায় ৪৪ নাম্বারে আছে

বাংলাদেশ কংগ্রেস ।। Bangladesh Congress ।। বাংলাদেশের সর্বশেষ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনটি বাংলাদেশের দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের নাম নতুন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক দল কাকে বলে বিরোধী দল কাকে বলে সরকারি ও বিরোধী দল কি


বাংলাদেশ কংগ্রেস

বাংলাদেশ কংগ্রেস বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল, যেটি ৪ঠা মার্চ ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে; ২০১৯ সালে ডাব প্রতীকে নিবন্ধন পায়।

ইতিহাস

বিগত ২০১৩ সালে জামায়াত ও বিএনপি সহিংসতার সময়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট এক দল আইনজীবী নিয়ে বাংলাদেশ কংগ্রেস নামক দলটি প্রতিষ্ঠা করে। কংগ্রেস শব্দের অর্থ মহাসভা, সম্মেলন। দলের চেয়ারম্যান হলেন এ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন এবং মহাসচিব এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম।

নির্বাচনী প্রতীকের নামঃ ডাব

চেয়ারম্যানঃ অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন

মহাসচিবঃ মোঃ ইয়ারুল ইসলাম

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানাঃ ১২ ময়মনসিংহ রোড, বাংলা মটর, ঢাকা-১০০০।

ইমেইল: adv.kazirezaul@gmail.com

 এ ছাড়াও বাংলাদেশে আরও কিছু রাজনৈতিক দল রয়েছে যা নিবন্ধীত নয়।

1 comment:

কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য আমাদের জানান। এখানে আপনার মন্তব্য করুন

Powered by Blogger.